দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ঈদে ঘরফেরা মানুষের উপঁচে পড়া ভীড় যেকোন মূল্যে বাড়ী ফিরতে মরিয়া মানুষ
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমঅঞ্চলের সাথে যোযায়োগের অন্যতম রুঢ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঝুঁকি উপেক্ষা করে ফেরিতে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, সিএসজি ও প্রাইভেটকারে বাড়ী ফিরতে শুরু করেছে তারা। সরকারের কঠোর লকডাউনের ঘোষনায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতে গাদাগাদি করে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পার হচ্ছে মানুষ।
![]() |
ছবি : মাওয়া ঘাট |
সরেজমিনে (৭ মে) শুক্রবার দুপুরে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখাযায়, চলমান লকডাউনের কারনে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা ও তার আশপাশের জেলা থেকে আসা সব যাত্রিই পার হচ্ছে ফেরিতে। সকাল থেকে ঈদের ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা যায়।এদিকে দুর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তারা ব্যাক্তিগত ছোট গাড়ী প্রাইভেটকার মাইক্রোবাস লোকাল বাস,সিএনজি, মোটর সাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটো রিকশাসহ বিভিন্ন উপায়ে ঘাটে পৌছাছেন। দ্বিগুন ভারাগুনে ভোগান্তি ও করোনার ঝুকি নিয়েই তারা স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটছেন গ্রামে।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মজিবর রহমান মোল্লা বলেন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় মোট ১৬ টি ফেরি রয়েছে। লক ডাউনের ঘোষনায় কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শুধুমাত্র জরুরী সেবা রোগী, লাশ বা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত গাড়ি সীমিত পরিসরে বিশেষ ব্যবস্থায় ছোট ৬ টি ফেরি দিয়ে যান পারাপারর করা হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ১৬টি ফেরি দিয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করছে। আজ(৭ মে) শুক্রবার সকাল থেকে ঈদের ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ার সাথে সাথে ব্যাক্তিগত গাড়ীর চাপ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় দুপুর থেকে সব গুলো (১৬টি)ফেরি চলাচল শুরু করেছে।
No comments