১৬৪ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি নামিবিয়ার
নামিবিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা শুরুটা করেছিল বড় দলের মতো করেই। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে নামিবিয়া বুঝিয়ে দিল, বিনাযুদ্ধে তারা ছাড়বে না ‘সূচ্যগ্র মেদিনী’। এ সময় নামিবিয়া তুলেছে ৬৮ রান। তাতে বাজে শুরুটা পেছনে ফেলে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৪ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে দলটি।
![]() |
আজ গিলংয়ের কার্ডিনিয়া ওভালে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরুর ঠিক আগে দিলশান মাদুশাঙ্কাকে হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। এরপর অবশ্য টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণই করেছিল দলটি। পাওয়ারপ্লেতেই তুলে নিয়েছিল নামিবিয়ার তিন উইকেট। শুরুর ছয় ওভারে কেবল ৩৫ রানই জড়ো করতে পেরেছে দলটি।
সেই থেকে লড়াইয়ের শুরু গেল বারের সুপার টুয়েলভ খেলা আফ্রিকান দলটির। স্টেফান বার্ড আর অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাসের ৪১ বলে ৪৩ রানের জুটি স্থিতি দিয়েছে নামিবিয়াকে। তবে ইরাসমাসকে হারানোর কিছু পর বার্ড আর ডেভিড ভিসার উইকেট খুইয়ে আবারও খাদের কিনারে চলে গিয়েছিল দলটি।
এরপরের গল্পটা কেবলই ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক আর ইয়োহাম্ন স্মিটের। দুজন মিলে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩৩ বলে যোগ করেন ৬৯ রান, যা সপ্তম বা তার নিচের উইকেট জুটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
তাতে ভর করেই শ্রীলঙ্কাকে তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম বিস্মরণযোগ্য ডেথ বোলিং অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় নামিবিয়া। শেষ চার ওভারে নামিবিয়ানরা তোলে ৫৭ রান, লঙ্কানদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে শেষ চার ওভারে এর চেয়ে বেশি রান হজমের নজির আছে আর মাত্র একটি, ২০১০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে শেষ চার ওভারে ৬২ রান হজম করেছিল দলটি।
সে রেকর্ড না ভাঙলেও নামিবিয়া আসল কাজটা করে ফেলেছে। বাজে শুরুটা পেছনে ফেলে পেয়ে গেছে লড়াইয়ের পুঁজি। বোলাররা ১৬৩ রানের পুঁজি বাঁচিয়ে দিতে পারলেই ইতিহাস গড়ে ফেলবে দলটি।
No comments